বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ কেবল বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে এশিয়া দেশগুলোতে পালিত হয় ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনে। এর মধ্যে ভারতের কয়েকটি রাজ্য, মিয়ানমার, নেপাল, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনাম অন্যতম।
মিয়ানমারে বাংলা নববর্ষকে স্থানীয়ভাবে থিংইয়ান নামে ডাকা হয়। বার্মিজ ভাষায় এর অর্থ ‘পরিবর্তন’ বা ‘এক জায়গা থেকে অন্যত্র স্থানান্তর’। এদিন পানি উৎসব হয় বৌদ্ধ অধ্যুষিত এলাকায়। দেশটির মানুষ ৫শ’ বছরের বেশি সময় ধরে পালন করে আসছে এ উৎসব। এবছর ১৩ই এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে উৎসব চলবে ১৬ তারিখ থেকে।
থাইল্যান্ডের নতুন বছরের শুরুর দিনটি সংক্রান উৎসব নামে পরিচিত। শব্দটি সংস্কৃত ভাষার শব্দ সংক্রান্তি থেকে এসেছে। সংক্রানের দিনে পানি উৎসবে মেতে ওঠে পুরো দেশ। থাইল্যান্ডে মূলত এটি এপ্রিলের ১৩ তারিখে শুরু হয়, উৎসব চলে ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময়ে দেশটির সাধারণ ছুটি থাকে।
শ্রীলঙ্কা সিনহালা নববর্ষকে স্থানীয়ভাবে আলুথ আবুরুদ্ধাও বলা হয়। দিনটিতে শ্রীলঙ্কায় সরকারি ছুটি থাকে। শ্রীলংকার এই নববর্ষ ১৪ই এপ্রিল পালন করা হয়। তবে উৎসব চলে এক সপ্তাহ ধরে। সিনহালা নববর্ষের সাথে তামিল নববর্ষের উদযাপনে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। উৎসবে নানা রকম পিঠা, মিষ্টি আর পায়েস বানানো হয়। হয় নানা রকমের খাওয়া দাওয়ার আয়োজন।
কম্বোডিয়াতে ১৪ই এপ্রিল খেমার নববর্ষ পালন করা হয়। দেশটিতে দিনটিকে বলা হয় ‘চউল সানাম থামাই’, এর মানে নতুন বছরে প্রবেশ করা। উৎসবের শুরু হয় বৌদ্ধ মন্দিরে সকাল বেলায় ধর্মীয় আচার পালনের মধ্য দিয়ে। এরপর প্যাগোডা বা বৌদ্ধমন্দির চত্বরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের মাধ্যমে নতুন বছরের স্বাগত জানাতে শুরু করেন অধিবাসীরা।
ভারতের কয়েকটি রাজ্যে বৈশাখ মাসের প্রথম দিন নববর্ষ উদযাপন করা হয়। হিন্দু সৌর বছরের প্রথম দিন আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, মনিপুর, উড়িষ্যা, পাঞ্জাব, তামিল নাড়ু এবং ত্রিপুরার সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন নামে পালন হয় বৈশাখের প্রথম দিন।