সোমবার , ১১ এপ্রিল ২০২২ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

১৭ বছর ধরে আদালত থেকে উধাও মামলার ডকেট

প্রতিবেদক
Probashbd News
এপ্রিল ১১, ২০২২ ৮:২১ পূর্বাহ্ণ

Spread the love

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার বিচারকাজ শুরু করতে গিয়ে জানা গেল মামলার মূল নথি আদালতে নেই। ২০০৫ সালের জুন মাসে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর কার্যালয় থেকে পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন তা নিয়ে যান। পরে যা আর জমা হয়নি।
কেন কী কারণে তিনি মামলার নথি নিয়েছিলেন এর কোন জবাব নেই তার কাছে। তৎকালীন পিপি বলেছেন, নথি নেয়ার বিষয়টি জানতেন না তিনি। আর বর্তমান পিপি বলছেন, এটি দুরভিসন্ধিমূলক।

১৯৯৮ সালের ১৭ই ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর বনানীর একটি ক্লাবে খুন হন নায়ক সোহেল চৌধুরী। পরের বছর ৩০শে জুলাই ৯ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেয়া হয়।

চার্জশিটসহ মামলার সকল নথিপত্র যাকে বলা হয় কেস ডকেট সেটি আদালত হয়ে জমা হয় মহানগর পিপি কার্যালয়ে। সেখান থেকে ২০০৫ সালের ২রা জুন স্বাক্ষর করে এই ডকেট তুলে নিয়ে যান ফরিদ উদ্দিন নামের পুলিশের তৎকালীন এক কর্মকর্তা। যিনি নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার কোন কার্যক্রমেই সম্পৃক্ত ছিলেন না।

ঢাকা মহানগরের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘সে কেন নিল সেটা রহস্যজনক। এটা একটা চাঞ্চল্যকর মামলা। মামলাটাকে নষ্ট করার জন্য বা যারা আগ্রহী ছিল মামলাটার প্রতি, তারাই হয়তো এমন কাজটা করিয়েছে। সুতরাং এটা খুঁজে বের করা উচিৎ।’

ডকেট তুলে নেয়ার কথা স্বীকার করলেও নানা প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দিন। ফোনালাপে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারছি না। এত দিন আগের ঘটনা আমার মনে পরছে না। আমি এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাও না।’

বাদিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, মামলা নষ্ট করার চক্রান্তের একটি অংশ এই ডকেট উধাও হওয়া। দীর্ঘ ২৪ বছর পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের বিচারটি নানা ভাবেই বিলম্বিত হয়েছে। এর পিছনে অবশ্যই একটা চক্র কাজ করছে, যার একটি অংশ হচ্ছে এই ফরিদ উদ্দিন।

ডকেট গায়েব হওয়ার পেছনে কারা আছে তা বের করা দরকার বলে মনে করেন সেসময়ের ঢাকা মহানগরের পিপি আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাসান। তিনি বলেন, ‘আমারও একই প্রশ্ন যে, সে কেনো এই ডকেটটি নিয়ে যাবে। কার কথায় নিবে, কে অনুমোদন দিবে। এর জন্য আমার অনুমোদন লাগবে। নায়তো পুলিশ ডিপার্টমেন্টে যারা ছিল তাদের অনুমোদন লাগবে।’

আগামী ১৭ই এপ্রিল ফরিদ উদ্দিনকে মূল ডকেট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এই মামলার অন্যতম আসামী শিল্পপতি আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন।

সর্বশেষ - প্রবাস

Translate »