ক্ষোভের সাথে একজন প্রবাসী বললেন, আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক যখন অসুস্থ হয়েছিলেন তখন তাৎক্ষণিক ডা. দেবী শেঠিকে ভারত থেকে বিমানে করে নিয়ে আসা হলো চিকিৎসার জন্য। অথচ প্রবাসীদের অনেক সমস্যা আছে যেগুলি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অধ্যাবধি সামাধান হয়নি যেটি ওই মাননীয় মন্ত্রীর চিকিৎসার মতো দ্রুততার সাথে করা উচিত কিংবা করা যায়।
ইউরোপের অনেক দেশে প্রবাসীরা কাজ করছেন তাদের সমস্যাও প্রচুর অথচ সেকল দেশে কোনো দুতাবাস নাই। আবার অনেক দেশে হাই কমিশন আছে যেখানে প্রবাসী বলতে কেউ নাই। যদিও প্রবাসীদের জন্যই কেবল দুতাবাস স্থাপন নয় তথাপি দেশের অর্থনীতিতে যখন প্রবাসীদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, সুতরাং প্রবাসীদের স্বার্থেই দুতাবাস স্থাপন বেশি জরুরি।
ইতালির বিভিন্ন প্রদেশে প্রচুর প্রবাসী বাঙালিদের বসবাস হলেও এসব প্রদেশে দীর্ঘদিনের দাবি সত্ত্বেও কোনো কনসুলেট স্থাপন করা হচ্ছে না।
বিমান বন্দরে প্রবাসীদের হয়রানী, বিভিন্ন রাষ্ট্রে অবস্থানরত দুতাবাসে প্রবাসীদের হয়রানী রোধে নেয়া হচ্ছেনা কোনো কার্যকর ব্যবস্থা। সৌদি আরবে আমাদের নারীরা যে হারে নিগৃহিত হচ্ছে সে বিষয়েও সরকার বরাবরই নিরব ভূমিকা পালন করছে।
প্রবাসীরা দেশের বাইরে ধাকায় তাদের পরিবার পরিজন সব সময় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে থাকেন। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন দপ্তরে পবাসীদের সন্তানদের কোটা প্রথা চালুর দাবী বহুদিনের, কিন্তু তারও কোনো সুরাহা হয়নি।
সুতরাং কবে কিংবা কি করলে প্রবাসীদের দাবি পূরণ হবে, সেটাই হলো প্রশ্ন।