এ যেন্ নারীর হাট-বাজার। এ বাজারে বিক্রেতা যেমন নারী, আবার বেশিরভাগ ক্রেতাও সেই নারী। রাঙ্গামাটির বিখ্যাত বনরূপা বাজারে গেলে দেখা মিলবে এই দৃশ্য। বাহারি শাকসবজি ও নানান পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে আছে শত-শত নারী। আর তাদের প্রধাান ক্রেতাও সেই নারী।
জুমে উৎপাদিত ফসল নিয়ে কাপ্তাই হ্রদ পাড়ি দিয়ে দূর দূরান্ত থেকে এই বাজারে আসেন বিভিন্ন উপজাতি না্রী।তাদের উৎপাদিত ফসল ও বাহারি সব পণ্য কিনতে এখানে এসে ভিড় করেন শহরের বিভিন্ন এলাকার নারী ক্রেতা। এ যেন এক নারী মেলা।
সেই মেলার বিক্রেতাদের একজন জোনাকি চাকমা। যিনি থাকেন রাঙ্গামাটির অদূরে কাপ্তাই হ্রদের দ্বীপগ্রাম বন্দুকভাঙ্গায়। নদীপথে ঘণ্টাখানেকের পথ পাড়ি দিয়ে জুমে উৎপাদিত শাক-সবজি ও ফল-মূল নিয়ে আসেন এই বাজারে। প্রতি সপ্তাহে শনি ও বুধবার বসে এই বনরূপা বাজার।
ভয়েস: ছয় দশকের পুরনো বনরূপার বিখ্যাত এই হাটে পাওয়া যায় জুমে উৎপাদিত সব ধরনের তরি-তরকারিসহ মাছ এবং শুটকি। এখানে পাওয়া যায় পাহাড়িদের জুমে উৎপাদিত সাবারাং পাতা, আমিলা গোটা, বাচ্চুরি বা বাঁশ কোড়ল, মারফা, ধাইন্যা মরিচ এবং কচুর ছড়া। আরও পাবেন কলার থোড়, আলু শাক, কলমি শাক, তিত বেগুন, বিলাতি ধনেপাতা, মুলা শাক, লাউ শাক, পুঁই পাতা, পুঁই ডাটা, পুঁই শাকের বিচি, চিচিঙ্গা আর কাঁচা ও পাকা পেঁপে। দেখা মিলবে কাঁচকলা, জাম্বুরা, আনারস, কচি কাঁঠালসহ বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফল-মূল। তবে শ্রমসাপেক্ষ ফসল উৎপাদনের পরও অনেক সময় লাভ তেমন থাকে না বলে জানান নারী বিক্রেতারা।
জুমের রাসায়নিকবিহীন টাটকা ফল ও সবজি কিনতে বনরূপা বাজারে প্রতি শনি ও বুধবার হাটে ভিড় করেন স্থানীয়রা।
সেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়ে দূর থেকে আসা নারীদের সুরক্ষা দেয়া হলে জানান ব্যাবসায়ী সমিতির এই নেতা।
প্রতি বাজার দিবসে প্রায় থেকে ১০ হাজার ক্রেতা- বিক্রেতার সমাগম হয় এই বাজারে।