নোয়াখালী পৌর এলাকায় মাত্র ৬ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে প্রায় ১৫টি সিএনজিচালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব স্ট্যান্ডের কারণে তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। বখাটেদের দৌরাত্ম্যে নষ্ট হচ্ছে শহরের পরিবেশ।
সোনাপুর থেকে মাইজদী বাজার পর্যন্ত মাত্র ৬ কিলোমিটারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নোয়াখালী পৌরশহর। উপজেলা থেকে জেলা শহরে আসার জন্য খুব বেশি যাত্রীবাহী বাস না থাকায় যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা।
সোনাপুর জিরোপয়েন্টের চার দিকে ৪টি, জেলা জামে মসজিদ মোড় থেকে মাইজদী বাজার পর্যন্ত দেড় কিলোমিটারে ৯টিসহ পৌর শহর জুড়ে রয়েছে প্রায় ১৫টি অবৈধ স্ট্যান্ড। ফলে অসহনীয় যানজটে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে লাখো মানুষকে।
চালকদের মতে, নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় বাধ্য হয়েই সড়কে পার্কিং করছেন তারা।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়েকবার সরানো হলেও পুনরায় অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে উঠে। সমস্যা সমাধানে ভবিষ্যতে কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা স্ট্যান্ড করার পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানায় পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খান সোহেল।
জেলায় মোট নিবন্ধিত সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংখ্যা ১৩ হাজার ৪শ হলেও অনিবন্ধিত সিএনজির সংখ্যা অনেক বেশি। সুনির্দিষ্ট পার্কিং নীতিমালার করে পরিকল্পিত ও দৃষ্টিনন্দন শহর গড়ে তোলার দাবি পৌরবাসীর।