ব্রেক্সিট পরবর্তী যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নশীল করার ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে ব্রিটিশ সরকারের বিশ্বাস। গত ২২ ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ওয়েস্টমিনস্টার হলে কমনওয়েলথ বাণিজ্যের ওপর অনুষ্ঠিত একটি বিতর্ক চলাকালীন যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী গ্রেগ হ্যান্ডস এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর ব্রিটেনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রবাসী জনগোষ্ঠীরা যে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তা প্রমাণ হবে বলে মন্তব্য তার।
যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ মন্ত্রী বলেছেন, ‘অবিশ্বাস্য ব্যাপার হলো, বাণিজ্য খাতে প্রবাসীরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। কমনওয়েলথের সঙ্গে বাণিজ্য সামর্থ্য বৃদ্ধিতে এটাই এখন যুক্তরাজ্যের মূল টোটকা। এসব প্রবাসীর বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও ক্যারিবীয়। পরিবর্তনশীল ও ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জিং বর্তমান বিশ্বে কমনওয়েলথ আমাদের জন্য অন্য যে কোনও সময়ের চেয়ে এখন খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলে রয়েছে বিরাট বাজার, আদতে এটি বাজারের চেয়েও বেশিকিছু। কারণ, সবদিক দিয়েই কমনওয়েলথের সমৃদ্ধি এখন তুঙ্গে।’
জানা গেছে, ব্রিটিশ বাংলাদেশ কমিউনিটির ৫ লাখ প্রবাসী যুক্তরাজ্য জুড়ে রাজনীতি, সামাজিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ব্যাপক অবদান রাখছেন প্রবাসীরা। তাই সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করাই এখন যুক্তরাজ্যের মূল উদ্দেশ্য।