ভোলায় গত দুই সপ্তাহ ধরে ক্রমেই বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রচন্ড গরমে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে গত দুই দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন রোগী। এছাড়া চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে প্রায় দুই শতাধিক রোগী। ধারন ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে একদিকে যেমন হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। অন্যদিকে শয্যা সঙ্কটে ভর্তি হওয়ায় রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে।
ভোলায় গত দুই সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে জেলার সাত উপজেলায় হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে গড়ে ৫০ জন রোগী। গত ১৫ দিনে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালে ২৪৩ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। গত দুই দিনে ভর্তি হয়েছে ৫০ জন। আর গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়া আক্রান্ত l ভর্তি হয়েছে ৩০ জন রোগী। বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে শয্যার দ্বিগুনেরও বেশি রোগী ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী শিশু। শয্যা সংকটের অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দার মেঝেতে। রোগী ও স্বজনদের ভিড়ে হাসপাতালের বারন্দায় সাধারণ মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। আর এতসব রোগীর সেবা দিচ্ছেন মাত্র এক জন নার্স। এমনকি স্বজনদের অভিযোগ গত তিন দিনে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে কোন চিকিৎসক রোগী দেখতে আসেনি। চিকিৎসক না আসায় সুস্থ হয়েও ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না অনেক রোগী। চিকিৎসক না আসায় রোগীরা চরম দূর্ভোগে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি নিজেও গত তিন দিন ধরে জেলার বাইরে ছুটি কাটাচ্ছেন। এমনকি তিনি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসেও ছিলেন না কর্মস্থলে।
তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ভোলায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে উল্লেখ করে সিভিল সার্জন বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডায়রিয়ার খাবার স্যালাইন সহ সবধরনের প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যবিভাগের এই কর্মকর্তা।