মাত্র ৮ বছর বয়সে এই শিশু গড়লো বিস্ময়কর কীর্তি। জাতীয়-আন্তর্জাতিক মিলিয়ে ১৯টি স্বর্ণপদক অর্জন করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে সে। একটি রৌপ্য ও দুটি ব্রোঞ্জ পদক মিলে ২২টি মেডেল অর্জন করেছে তায়কোয়ান্দ কারিশমাতে।
মায়ের আগ্রহতেই তায়কোয়ান্দ শেখা শুরু করেন জাফরিন। এখন বাবাও তাকে অনুপ্রেরণা দেন। চার বছর বয়সেই বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দ ফেডারেশনে তার হাতেখড়ি তার। মায়ের হাত ধরে নিয়মিত অনুশীলন করতে যায় মিরপুর ডিওএইচএসের তায়কোয়ান্দ ফেডারেশনে। প্রতিদিন চলে দুই ঘন্টা ঘাম জরানো অনুশীলন।
মা: তিনি বলবেন তিনি কেন এখানে বাচ্চাকে নিয়ে আসেন। সপ্তাহে কয়দিন আনেন।
ভয়েস: সম্প্রতি তায়কোয়ান্দতে ব্ল্যাক বেল্ট অর্জন করেছে জাফরিন। লকডাউন ও দমাতে পারেনি তাকে। ঘরে বসে নিয়মিত অনুশীলন ও অংশগ্রহন করেছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়।
তায়কোয়ান্দর জন্য কখনও ব্যাঘাত ঘটেনি জাফরিনের পড়াশোনায়। সমানতালে চলছে দুটি ।
তায়কোয়ান্দ নিয়ে তার অনেক বড় স্বপ্ন এই ছোট্ট মেয়েটি। জিততে চায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার । এ ছাড়া তার অবসর সময় কাটে নাচ, গান, বিভিন্ন ঘরোয়া খেলা এবং পোষাপ্রাণীদের সঙ্গে । সাথে তায়কোয়ান্দতো আছেই।
যে বয়সে শিশুরা মেতে থাকে পুতুল খেলা কিংবা কার্টুন দেখা নিয়ে সেই বয়সে জাফরিন গড়লো অনন্য কীর্তি। তায়াকোন্দো শুধু একটি খেলা নয় এটি একটি আত্মরক্ষার কৌশলও বটে।
জফরিনের পথ ধরে আরও অনেকে এগিয়ে আসবেন তায়াকোয়ান্দে, এমনটাই প্রত্যাশা তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের।