২০২২ কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে সমুদ্র পথে চারা রপ্তানির মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা করল বাংলাদেশ। ফলে দু’দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন পথ উন্মোচিত হল।
বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো সমুদ্রপথে বাণিজ্যক ভাবে মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ কাতারে বিভিন্ন ধরনের ফলজ ও বনজ ৩ হাজার ৭৪৭টি গাছের চারা আমদানি করার মধ্যে রয়েছে মাল্টা, লেবু, আম, জাম, কাঁঠাল, কাঠবাদাম, নিম, বটগাছ, বাউকুলসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে।
২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপে সামনে রেখে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে এগিয়ে যাচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তেমনি একজন কুমিল্লা লাকসাম উপজেলা বাকুই ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ রাকিবুল হাসান। সেহেলিয়ার ৮০ একর জমিতে একটি নার্সারিতে বাবার হাত ধরে এই ব্যবসায় আগমন হলেও দীর্ঘ ১০ বছরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন সফর উদ্যোক্তা হিসেবে। তার এই বাগানে বর্তমানে ১২০ জন প্রবাসীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
কাতারে সবুজায়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে চারা আমদানির মাধ্যমে দু’দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে এমনটা প্রত্যাশা প্রবাসী বাংলাদেশিদের। এদিকে, গাছের প্রথম চালান কাতারে এসে পৌঁছালে পরিদর্শনে গিয়ে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, আগামীতে যাতে ব্যাপক পরিসরে গাছ আমদানি করা যায় সেক্ষেত্রে সব ধরনের সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
অন্যদিকে বাংলাদেশি উদ্যোক্তা রাকিবুল হাসান জানান, দীর্ঘ তিন বছরের প্রচেষ্টার ফলে কাতারে এই প্রথম সমুদ্র পথে বাংলাদেশের বিভিন্ন গাছের চারা আমদানি করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাতার সরকার বিভিন্ন স্টেডিয়াম, রাস্তাঘাটে সবুজায়নে দৃষ্টি দিতে অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তাই গাছের চারা আমদানির মাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা পালন করবে বাংলাদেশ। এতদিন এই খাতে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নানা জটিলতা কাটিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এমনটা প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।