ইসরায়েলে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকা দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। শুধু চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকা শিশুরাই এই টিকা পাবে। গত মাসে ১২ থেকে ১৬ বছরের শিশুদের জন্য করোনার টিকার অনুমোদন দেয় ইসরায়েল। গতকাল বুধবার ইসরায়েলের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
করোনাভাইরাসের কারণে যেসব শিশু ‘মারাত্মক অসুস্থতা বা মৃত্যুর’ ঝুঁকিতে রয়েছে, তাদের টিকা দেওয়ার জন্য সবুজ সংকেত দেয় ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এএফপিকে জানান, এটি এক বিশেষ অনুমোদন। প্রতিটি শিশুকে টিকা দেওয়ার পর তা আলাদা আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার কোন কোন স্বাস্থ্যগত জটিলতার কারণে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে, তার একটি তালিকা প্রকাশ করে ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের জটিলতায় ভোগা শিশুদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল, সিকল সেল অ্যানামিয়া, পালমোনারি হাইপারটেনশন ও স্থূলতায় আক্রান্ত শিশুদের টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়। তালিকায় থাকা শিশুদের ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার শূন্য দশমিক ১ মিলিমিটার ডোজ দেওয়া হবে। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি ডোজে এর তিন গুণ পরিমাণ টিকা দেওয়া হয়ে থাকে।
টিকাদানের দিক দিয়ে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বেশ এগিয়ে রয়েছে ইসরায়েল। গত বছরের ডিসেম্বরে ফাইজার-বায়োএনটেকের সঙ্গে এক চুক্তির পর জোরেশোরে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে দেশটি। ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত টিকাটির দুই ডোজ পেয়েছে ৫৫ শতাংশ নাগরিক। ব্যাপক হারে টিকাদানের জেরে সে সময় ইসরায়েলে নাটকীয়ভাবে করোনার সংক্রমণ কমে আসে।
চলতি বছরের জুনে ইসরায়েল থেকে তুলে নেওয়া হয় সংক্রমণ রোধে জারি করা অনেক বিধিনিষেধ। এর কিছুদিন পরেই আবার সংক্রমণের হার বাড়তির দিকে যায়। ফলে জনসমাগম হয় এমন স্থানে মাস্ক পরার নির্দেশনা পুনরায় জারি করে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ফিরিয়ে আনা হয় ‘হেলথ পাস’ কর্মসূচি। এর আওতায় কোনো অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি অংশ নিতে পারবে না। এর বেশি মানুষের সমাগম করতে হলে তাঁদের অবশ্যই টিকা নেওয়া হতে হবে, অথবা করোনা টেস্টের নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে। পাশাপাশি এমন জনসমাবেশে করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদেরও নিরাপদ হিসেবে ধরা হবে।