১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনে (গণটিকা) যুক্ত করার কথা বলেছিল সরকার। কিন্তু এখন গণটিকার বয়সসীমা ২৫ বছর ও তদূর্ধ্বই রাখা হয়েছে। কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১৮ বছর বয়সী অনেকেরই জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। তাদের টিকা দিতে গেলে মাঠে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে, যা সামাল দেওয়া যাবে না।
আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ও টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইনে ২৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হবে। ক্যাম্পেইন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের জনগোষ্ঠী, নারী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের টিকা দেওয়া হবে। তবে এই ক্যাম্পেইনে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের টিকা দেওয়া হবে না।’
এতে আরও বলা হয়, ‘টিকা নিতে জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকা কার্ড (যারা ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন) সঙ্গে আনতে হবে। ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন চলাকালে শুধু প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হবে। পরবর্তী মাসে একইভাবে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে।’
‘টিকাদান সকাল ৯টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলবে এবং শেষ টিকা প্রদানের পর ভ্যাকসিনেশন টিম কেন্দ্রে ১ ঘণ্টা অবস্থান করবে। তবে, নিয়মিত ইপিআই টিকাদান সেশন পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী চলমান থাকবে। নিয়মিত ইপিআই টিকাদান সেশন কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না।’
টিকা নিতে নিবন্ধন করতে সরকারি সুরক্ষা অ্যাপে ২৫ বছরের নাগরিকদের জন্য গত ২৯ জুলাই উন্মুক্ত করা হয়। তখন জানানো হয়, ১৮ বছর বয়সীদেরও করোনার টিকা দেওয়া হবে। শুরুতে ৫৫ বছর বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে তা কমিয়ে ৪০ বছর করা হয়। তৃতীয় দফায় ৩৫, চতুর্থ দফায় তা আরও কমিয়ে ৩০ বছর করা হয়, যা বর্তমানে ২৫ বছর।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ আগস্ট থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলম বলেন, ক্যাম্পেইনের আওতায় আপাতত একদিন (৭ আগস্ট) ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তারপর সাতদিন বন্ধ থাকার পর আবার ক্যাম্পেইন চালু হবে। তবে চলমান টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।