কারিমুল আলম
নাগরিক হিসেবে আমাদের খুব বেশি সচেতনতা নেই। করোনা ভাইরাসের সময়েও আমরা মৃত্যু ঝুঁকি থাকা সত্বেও সচেতন হইনি। মাস্ক পড়া শেখাতে আমাদের বহু সময় লেগেছে। করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে ফুসফুসে। আমরা কি আমাদের ফুসফুস ভালো রাখার জন্যে কখনো চেষ্টা করেছি?
বিভিন্ন পরিবেশ দূষণের দ্বারা আমাদের ফুসফুস আক্রান্ত হয়। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় বায়ু দূষণ দ্বারা। করোনাভাইরাস না আসলেও আমাদের শহরগুলোতে মাস্ক ছাড়া চলা কঠিন। কিন্তু আমরা দিনের পর দিন মাস্ক ছাড়াই চলেছি। আমাদের ফুসফুসও আক্রান্ত হয়েছে।
সারাদেশে যে বাজার ও শহর গড়ে উঠেছে সেখানে নেই কোনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শহর গুলোতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই খারাপ। সমস্ত আবর্জনা ড্রেনে গিয়ে ভরাট হয়ে থাকে। বৃষ্টি হলেই তাই শহরের রাস্তায় পানি লেগে থাকে। দেশের কোন শহর, বাজারে হাঁটলে আপনার চোখে পড়বে আবর্জনার স্তূপ। এগুলো পরিস্কার করা হয়। না হলেতো ভাগাড়ে পরিণত হতো। কিন্তু সময়মতো করা হয়না।
কর্তৃপক্ষের লোকবল সংকট নয়। এখানে অবহেলা ও উদাসীনতা রয়েছে। সচেতনতার অভাব রয়েছে। জনগণের সচেতনতার অভাবে বাজার ও শহরের রাস্তায় পড়ে থাকা নানা আবর্জনা। তার উপরে কর্তৃপক্ষের কাজের ঢিলেমি। ছোট ছোট শহর, বাজারগুলোতেও আজ রাজধানীর মতো আবর্জনার স্তুপ দেখা যায়।
আমদের ফুসফুসকে ভালো রাখতে হলে এসব বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নজর দিতে হবে। আমাদের জনগণকেও আরও সচেতন হতে হবে। বাজার, শহরগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাস্টবিন ও পাবলিক টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। সাধারণ জনগণকে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। যেখানে সেখানে আমাদের আবর্জনা ফেলা উচিত নয়, এই সচেতনতা বোধটুকু তৈরি করতে হবে। এসব এখন শিক্ষিত ও অশিক্ষিত সকলেই জানে। শুধু অভ্যাসে পরিণত করা চাই। যেমনটা বিদেশের মাটিতে পা রাখলেই এসবে সকলে অভ্যস্ত হয়ে যায়।
আর শহর ও বাজার ব্যবস্থাপনা কর্তপক্ষকে তাদের লোকবলের উপর মনিটরিং জোরদার করতে হবে। লোকবল সংকট দূর করে নিয়মিত পরিস্কার করতে হবে। বাজারগুলোতে রাস্তায় এত আবর্জনার স্তুপ তৈরি হয় যে দেখেই সকলের বিরক্তি আসে। তাই সচেতন হওয়া উচিত সকলের।
আশা করি কর্তৃপক্ষ জনগণকে সঙ্গী করে দেশটাকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবে। নাহলে দিনে দিনে সামনে নতুন মহামারীর কবলে পড়তে হবে। পরিকল্পিত নগরায়নের দিকে এদেশ এগিয়ে যাবে এই আশাবাদ রাখতে চাই মানুষের উপর। আশা করি এদেশ বাসী সচেতন হবে অবশ্যই।