আনন্দে ভাসছেন আইসল্যান্ডের নারীরা। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে এবার বেশি নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দেশটিতে। খবর আল জাজিরার।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম আরইউভি বলছে, জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল থেকে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের জোট এগিয়ে রয়েছে ভোটে। প্রধানমন্ত্রী কাট্রিন জ্যাকবসডোট্টিরের নেতৃত্বাধীন জোট এগিয়ে রয়েছে। পার্লামেন্টে তার জোটের আসন সংখ্যা বাড়লেও নিজ দল লেফট গ্রিন মুভমেন্ট কয়েকটি আসন হারিয়েছে।
এদিকে, পার্লামেন্টের ৬৩টি আসনের মধ্যে ৩৩টি আসনেই নারীরা জয়ী হয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, লিঙ্গ সমতার বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে ভোট দিয়েছেন দেশটির সাধারণ ভোটাররা।
বিরোধী দল পাইরেট থেকে জয়ী হয়েছেন লেনিয়া রান থাহা কারিম। যার বয়স মাত্র ২১ বছর। দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সে নির্বাচিত আইনপ্রণেতা তিনি।
আইসল্যান্ড ব্যতিত ইউরোপের আরও দুটি দেশ, সুইডেনের পার্লামেন্টে ৪৭ শতাংশ এবং ফিনল্যান্ডের পার্লামেন্টে ৪৬ শতাংশ নারী আইনপ্রণেতা রয়েছেন।
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের তথ্যমতে, বিশ্বে রুয়ান্ডা, কিউবা এবং নিকারাগুয়ার পার্লামেন্টে পুরুষের তুলনায় নারী আইনপ্রণেতার সংখ্যা বেশি। এছাড়া মেক্সিকো ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও অর্ধেক আসনে নারী সংসদ সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছেন।
উত্তর আটলান্টিকের দেশটিতে বর্তমান জনসংখ্যা ৩ লাখ ৭১ হাজার। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, লিঙ্গ সমতার দিক দিয়ে গত ১২ বছর ধরে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে আইসল্যান্ড।
দেশটির রাজনীতির অধ্যাপক ওলাফার হার্ডারসন আরইউভি-কে দেওয়া সাক্ষাতকারে বলেন, এই নির্বাচনে নারীদের এমন জয় অনেক বড় ঘটনা।