বুধবার সকালে ওই যুবক ফ্রান্সের অভিবাসনবিষয়ক অফিস ‘ওএফআইআই’ র মন্তরোজ শাখায় প্রবেশ করতে চান। সেখানে দায়িত্বরত সিকিউরিটি তাকে বাধা দিলে তিনি সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে দুটি লম্বা ছুরি বের করে ওই অফিসের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। আশপাশের কাউকে আক্রমণ না করলেও কেউ যেন কাছে না ঘেঁষে সেই হুমকি দিতে থাকেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
পরে তাকে নিবৃত্ত করতে ইলেক্ট্রিক পিস্তল বুলেট ব্যবহার করে পুলিশ। ইলেক্ট্রিক বুলেটে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে শুক্রবার তাকে স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। আদালত হত্যার হুমকির অভিযোগ থেকে তাকে অব্যাহতি দিলেও মাদকের অবৈধ ব্যবহার এবং নিষিদ্ধ ডি ক্যাটাগরির অস্ত্র (ছুরি) হাতে ঘোরাঘুরির অপরাধে তিন মাসের স্থগিত কারাদণ্ড দেন।
পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানিয়েছেন, যুবকটি সুস্থ এবং স্বাভাবিক। তার মধ্যে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই।
রাজনৈতিক আশ্রয়ের (অ্যাসাইলাম) আবেদন করে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার ক্ষোভে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইমিগ্রেশন অফিসের সামনে ছুরি হাতে অবস্থান নিয়েছিলেন এক বাংলাদেশি যুবক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
গত বুধবার (২০ অক্টোবর) প্যারিসের অদূরে মন্তরোজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অবশ্য শুক্রবার (২২ অক্টোবর) ২৬ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি অভিযোগে তাকে তিন মাসের স্থগিত কারাদণ্ড (সাসপেন্ডেড জেল, যার মাধ্যমে আসামি একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পুলিশি নজরদারিতে থাকবেন, এই সময়ে কোনো অপরাধে জড়াবে না, জড়ালে কারাগারে যেতে হবে) দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ওই ব্যক্তির জাতীয়তা উল্লেখ করলেও তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি। এ ঘটনার পর ফ্রান্সে বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদনের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম ল্য ফিগারো জানিয়েছে, ২৬ বছর বয়সী ওই যুবক ফ্রান্সে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় আবেদন করেন। কিছুদিন আগে ফ্রান্সের অভিবাসনবিষয়ক আদালত থেকে তা প্রত্যাখ্যান হয়।