ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং দেশটির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্ক।
শনিবার (৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নেতানিয়াহুসহ মোট ৩৭ জন ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ, জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আয়াল জামির। তবে পুরো তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েল যে পদ্ধতিগতভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে, তারই অংশ হিসেবে এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
প্রসিকিউটর অফিসের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলায় ৫০০ জন নিহত হন; ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি সেনারা সচেতনভাবে চিকিৎসা সরঞ্জাম ধ্বংস করে; গাজাকে অবরুদ্ধ রাখা হয় এবং ভুক্তভোগীদের মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত করা হয়।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় তুরস্কের নির্মিত ‘তুর্কি-প্যালেস্টাইন ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল’-এ ইসরায়েলের হামলার ঘটনাও তদন্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ২০২৪ সালের মার্চে বোমাবর্ষণে ধ্বংস হয়।
এদিকে ইসরায়েল তুরস্কের এই পদক্ষেপকে “রাজনৈতিক প্রচারণা” হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সাআর এক্সে (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, “স্বৈরশাসক এরদোয়ানের সর্বশেষ প্রচারণা আমরা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”
অন্যদিকে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস তুরস্কের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে সংগঠনটি একে “ন্যায়বিচার, মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধে অঙ্গীকারবদ্ধ তুর্কি জনগণ ও নেতৃত্বের প্রশংসনীয় পদক্ষেপ” বলে আখ্যা দিয়েছে।
তুরস্কের এই ঘোষণা আসে এমন সময়ে, যখন প্রায় এক বছর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
এর আগে গত বছর তুরস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) যোগ দেয়।











