ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি বৃহৎ সামরিক মহড়ায় ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস গ্রাউন্ড ফোর্স নতুন আত্মঘাতী এবং গোয়েন্দা ড্রোন উন্মোচন করেছে। সোমবার থেকে ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ‘পায়াম্বার-এ-আজম (মহান নবী) ১৯’ যুদ্ধ মহড়া শুরু করেছে আইআরজিসি। মহড়ার সময় আইআরজিসি গ্রাউন্ড ফোর্স দেশীয়ভাবে তৈরি ড্রোনের একটি সিরিজ ব্যবহার করেছে। খবর তাসনিম নিউজ
আইআরজিসি এমন সময়ে এই ড্রোন উন্মোচন করল, যখন ইসরাইল এ বছরের মাঝামাঝি ইরানে বড় ধরণের হামলা চালাতে পারে বলে খবর দিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
যুদ্ধ মহড়ায় উন্মোচিত নতুন মনুষ্যবিহীন বিমানের মধ্যে রয়েছে ‘বিনা’, একটি হাইব্রিড রিকনাইসেন্স ড্রোন যার অপারেশনাল রেঞ্জ ৪০ কিলোমিটার, ‘কান্দিল ৪ এবং ৫’ রিকনাইসেন্স ড্রোন যার রেঞ্জ ১০০ কিলোমিটার এবং ফ্লাইট এন্ডুরেন্স ৫ এবং ১০ ঘন্টা, পাশাপাশি ‘আরবাইন’ ভিটিওএল (উল্লম্ব টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং) ড্রোন, একটি মনুষ্যবিহীন বোমারু ড্রোন যা ১০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭ কেজি ওজনের বোমা বহন করতে পারে।
মহড়ায় ব্যবহৃত অন্যান্য নতুন ড্রোনগুলি হল ‘রা’দ-২’ আত্মঘাতী ড্রোন যার পাল্লা ২০ কিলোমিটার এবং ৫ কেজি ওজনের ওয়ারহেড, ‘রা’দ-৩’ আত্মঘাতী ড্রোন যার পাল্লা ১০০ কিলোমিটার এবং ১২ কেজি ওজনের ওয়ারহেড এবং ‘সায়েকহ’ আত্মঘাতী ড্রোন যার পাল্লা ২০ কিলোমিটার এবং এক কেজি ওজনের ওয়ারহেড।
আইআরজিসি ‘সাবের’ কমব্যাট মাইক্রো এরিয়াল ভেহিকেলও উন্মোচন করেছে, যা ৫ কিলোমিটারের মধ্যে বিভিন্ন এন্টি-ট্যাঙ্ক এবং এন্টি ট্যাঙ্ক পার্সোনেল অস্ত্র বহন করতে পারে। মহড়ার প্রথম পর্যায়ে, আইআরজিসি গ্রাউন্ড ফোর্স ‘রেজওয়ান’ নামে একটি নতুন লোটারিং ড্রোন উন্মোচন করেছে যার পাল্লা ২০ কিলোমিটার এবং উড়ানের ক্ষমতা ২০ মিনিট। নতুন ড্রোনগুলি আইআরজিসি গ্রাউন্ড ফোর্স ইউনিটগুলিকে পাহাড়ি অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে আরও কার্যকরভাবে লড়াই করতে সক্ষম করেছে।
‘কামিকাজে ড্রোন’ বা ‘আত্মঘাতী ড্রোন’ নামেও পরিচিত-এটি একটি নির্দিষ্ট ধরণের অস্ত্র যা সুনির্দিষ্ট আক্রমণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। একবার চালু হয়ে গেলে, এই সিস্টেমগুলি লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত এবং ট্র্যাক করার জন্য উন্নত অপটিক্যাল এবং তাপীয় সেন্সর ব্যবহার করে। তারা সম্ভাব্য হুমকির জন্য স্ক্যানিং করে, নির্ধারিত আকাশসীমায় টহল দেয় এবং যখন লক্ষ্যবস্তু খুঁজে পায়, তখন তারা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ে, শত্রুদের ধ্বংস নিশ্চিত করার জন্য নিজেদের বিস্ফোরণ ঘটায়।
নজরদারি এবং আঘাত করার ক্ষমতার এই অনন্য সমন্বয় আধুনিক যুদ্ধে লোটারিং গোলাবারুদকে অত্যন্ত কার্যকর করে তোলে। এই ধরনের অস্ত্র স্থল যুদ্ধ এবং আক্রমণ-বিরোধী অভিযানেও বিশেষভাবে কার্যকর।