প্রবাসীর আর্থিক ভিত্তি প্রসারিত করতে ব্যাংকগুলোকে ঋণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়মে একজন প্রবাসী ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পাবেন। এ ঋণ প্রবাসীরা ইচ্ছামতো প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করতে পারবেন। প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার সুযোগ থাকছে।
এতদিনে শুধু উচ্চ আয়ের প্রবাসীরা গৃহনির্মাণে স্বল্প পরিমাণ কিছু ঋণ পেতেন। তবে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্ক ভিত্তিতে ঋণের সুদহার নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা বলা হয়, যেসব বাংলাদেশি নাগরিক বিদেশে রয়েছেন (প্রবাসী) তারা এই ঋণের জন্য বিবেচিত হবেন। আর বৈধভাবে পাঠানো রেমিট্যান্সের ভিত্তিতে ঋণ পাওয়ার যাবতীয় বিষয় নির্ধারণ হবে। প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে পাঠানো রেমিট্যান্স থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করার বিধান রাখা হয়েছে। ঋণ দেওয়র ক্ষেত্রে দেশের ব্যাংকিং নীতিমালার প্রচলিত ধারা মেনে চরার জন্য বলা হয়েছে।
নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা অধিক পরিমাণে জনশক্তি পাঠানোর জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কাজ করছে। জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) অধীনে বর্তমানে ১০৪টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ছয়টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিসহ মোট ১১০টি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার মাধ্যমে ৫৫টি কর্মসংস্থান উপযোগী স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ ১৩ হাজার ৪৬০ জন।
বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পৃথক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, আমদানি পণ্য পরিবহনের ব্যয় মেটাতে ব্যাংকগুলোকে উদাসীনতা দেখাতে বিরত থাকতে হবে। সব এডিকে পরিবহন খরচ বকেয়া না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অন্য নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল কলেজ কিংবা কোনো অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সফটওয়ার এবং ক্লাউড সেবা বাবাদ বার্ষিক ফি বা চাদা কিংবা চার্জ ৩ হাজার ডলার থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৫০০ ডলারের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারন করা হবে।