গত জুলাই থেকে আগস্ট মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ অনেকটা বেড়েছে। প্রবাসীরা বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। রিজার্ভ বৃদ্ধির বড় কারণ এটি। ফলে ক্রমশ কমতে থাকা রিজার্ভের নিম্নগতি থামানো গেছে। প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়ায় দেশে বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ।
শুধু তা–ই নয়, বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে রিজার্ভের পতন থামানো গেছে। পতন থামলো, রেমিট্যান্সের প্রভাবে বাড়লো রিজার্ভ। কিন্তু রেমিট্যান্সযোদ্ধারা কি তাদের স্বকৃীতি পেয়েছেন? বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ধরে রেখেছেন এই প্রবাসীরা। কিন্তু এই প্রবাসীদের সরকার কী দিয়েছে?
দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে প্রবাসীযোদ্ধারা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। তারা যে কী পরিমাণ কষ্ট করেন, তা বিদেশে না গেলে বোঝার কোনো উপায় নেই। অথচ তারা প্রবাসে বিপদে পড়লে বাংলাদেশ দূতাবাস কোনো সাহায্য করে না। বিভিন্নভাবে হয়রানির অভিযোগও আছে। তাই প্রবাসী নামের ডায়মন্ডের খনিকে বিমানবন্দরে সম্মান করা হোক।
তারা যেন বিমানবন্দরে কখনো হয়রানির শিকার না হন। দেশের প্রতি ভালোবাসা তাদের মনে গেঁথে দিতে হবে, দেশের প্রতি যেন তারা বিরক্ত না হন। কেননা প্রবাসীরা কখনো বলেননি বিমানবন্দরে তাদের সালাম দেওয়া হোক বা স্যার বলে সম্মান করা হোক। তারা শুধু সুন্দর ব্যবহার যেন পান, এটাই কামনা করেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, তারা এ দেশের উন্নয়নের অন্যতম বৃহৎ অংশীদার।
তাই দেশের স্বার্থে বিদেশগামীদের জন্য বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হোক এবং প্রবাসে যাওয়ার প্রসেসিং সহজ করেন, যেন রেমিট্যান্সপ্রবাহ আরও প্রবৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদের কাজের ব্যবস্থা সহজ করে দেওয়া হোক। যাদের প্রয়োজন তাদের আর্থিক সহযোগিতা সহজতর করলে অনেক লোক বিদেশ যাবেন।
ফলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ বৃদ্ধি পাবে, যা আমাদের খুবই প্রয়োজন। কারণ, বেশি বেশি দক্ষ জনশক্তি বিদেশে রপ্তানি করা মানে দেশে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়া।