নিজ দেশের নাগরিকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের ‘লাল তালিকায়’ রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই নির্দেশনা এবার শিথিল করেছে দেশটি। তবে পাবর্ত্য চট্টগ্রাম এলাকায় ভ্রমণ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
স্থানীয় সময় বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়। মূলত গত জুলাইয়ের ভ্রমণ সতর্কতার আপডেট প্রকাশ করা হয়েছে এতে।
পররাষ্ট্র দফতর বলছে, বাংলাদেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে গত জুলাইয়ে ‘লেভেল-৪’ বা চতুর্থ পর্যায়ের ভ্রমণ সতর্কতা জারি হয়। এতে মার্কিনিদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। তবে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু নির্দেশনা মানতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা।
বাংলাদেশের কিছু এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে উল্লেখ করে নির্দেশনায় বলা হয়, অস্থিরতা, অপরাধ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ ভ্রমণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন। বিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক সমাবেশ এড়িয়ে চলুন; শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। ব্রেকিং ইভেন্টগুলোর জন্য স্থানীয় গণমাধ্যমে নজর রাখুন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, অপরাধ, সন্ত্রাস, অপহরণ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি এবং বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলোতে ভ্রমণ না করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।এতে আরও বলা হয়, আপনার যদি এই অঞ্চলগুলোতে ভ্রমণের পরিকল্পনা থাকে, তাহলে বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা অফিসের পূর্বানুমতি প্রয়োজন হবে।
বিভিন্ন স্থানে হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর বলছে, সন্ত্রাসবাদী আক্রমণগুলো সামান্য বা কোনো সতর্কতা ছাড়াই ঘটতে পারে। পর্যটন স্থান, পরিবহন কেন্দ্র, বাজার/শপিং মল, রেস্তোরাঁ, উপাসনালয়, স্কুল ক্যাম্পাস এবং সরকারি জায়গাগুলো ঝুঁকিতে আছে।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশ করা তালিকায়, বাংলাদেশসহ ২১টি দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করে চতুর্থ পর্যায়ের ভ্রমণ সতর্কতা জারির কথা জানানো হয়। এটিই যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ভ্রমণ সতর্কতা। তখন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এসব দেশে ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরদিন মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে চতুর্থ ধাপের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা হয়।