ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা প্রধান পদত্যাগ করেছেন। ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলা ঠেকাতে তার ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) বলেছে, মেজর জেনারেল হারুন হালিভা তার উত্তরসূরি নির্বাচিত হওয়ার পর অবসর নেবেন।
একটি চিঠিতে হারুন হালিভি স্বীকার করে বলেছেন, তার নেতৃত্বাধীন গোয়েন্দা অধিদফতর সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আমরা পালন করিনি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ওই হামলায় প্রায় ১৩০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। হামাস জিম্মি করেছে আরও অন্তত ২৪০ ইসরাইলিকে। এর পর হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরাইল। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। সংঘাত দিন দিন আরও বিস্তৃত হচ্ছে।
৭ অক্টোবরের ঘটনার পর এই প্রথম ইসরাইলের কোনো শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করলেন। সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের এই পদত্যাগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক চাপে পড়তে পারেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
ইসরাইলি লেখক এবং হারেৎজ পত্রিকার প্রাক্তন কলাম লেখক আকিভা এলদার মেজর-জেনারেল হালিভার পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলেছেন, নেতানিয়াহু শীঘ্রই গাজার যুদ্ধ শেষ করতে চাচ্ছেন না, সম্ভবত তাই গোয়েন্দা প্রধান পদত্যাগ করেছেন।
এলদার আরেকটি কারণ যোগ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু হামাসের হাতে জিম্মিদের ইসরাইলে ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী নন। তাই হালিভা তার উপর চাপ প্রয়োগ করতে এই পদত্যাগ করেছেন।
এলদার বলেন, নেতানিয়াহু সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ এবং তিনি কখনই হামাস হামলার জন্য দায় নেননি। তাই হালিভা তাকে একটি ব্যক্তিগত বার্তা পাঠাতে চেয়েছেন। তার পদত্যাগের ফলে নেতানিয়াহুকে যে বার্তা দেওয়া হয়েছে তা হলো, আমি যদি পদত্যাগ করতে পারি তবে আপনি কেন নয়?