এশিয়া কাপের পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকার পর বাংলাদেশকেও হারাল আফগানিস্তান। এক রকম হেসেখেলেই টাইগারদের হারল মোহাম্মদ নবীর দল।
আফগানিস্তানের দুই সেরা স্পিনার রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের ঘূর্ণিজাদুতে টিকলই না বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৪৮ রান না করলে হয়তো দলীয় সংগ্রহ ১০০ পার করতে পারত না বাংলাদেশ।
টপ ও মিডলঅর্ডারের ৬ ব্যাটারই মুজিব ও রশিদের শিকার। এ দুই বোলারের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ।
১২৮ রানের সাধারণ লক্ষ্য পার করতে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ইব্রহিম জর্দান ও নাজিবুল্লাহ। ৯ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।
শুরুতেই টপঅর্ডারের সব ব্যাটাররা আউট হয়ে যাওয়ায় খেলায় আর ফিরতে পারেননি – এমনটাই জানালেন সাকিব আল হাসান
শোচনীয় পরাজয়ের পর ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আপনি প্রথম ৭-৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেললে ম্যাচে ফেরাটা সবসময় কঠিন। উইকেট বিবেচনায় আমরা ১০-১৫ রান কম করেছি। তবে আমি মনে করি বোলাররা দারুণ পারফর্ম করে আমাদের খেলায় ফিরিয়ে এনেছিল। তারা অসাধারণ বোলিং করেছে। প্রথম ১৫ ওভার দারুণ কেটেছে বোলারদের। কিন্তু আফগানিস্তানকে কৃতিত্ব দিতেই হয়, তারা সত্যিই ভালো খেলে (জয় নিজেদের করে নিয়েছে)। পরের ৩-৪ ওভারেই তারা আমাদের থেকে ম্যাচটি বের করে নিয়েছে। ’
আফগান ব্যাটার নাজিবুল্লাহর প্রশংসা করেন সাকিব। বললেন, ‘এটা বলতেই হয় নাজিবুল্লাহ একজন বিপজ্জনক খেলোয়াড়। আমরা ভেবেছিলাম এই ধরনের উইকেটে আমরা ভালো পারফর্ম করব। কিন্তু তারা (আফাগানিস্তানের ব্যাটার) দারুণ ব্যাটিং করেছে। এটা তাদের কৃতিত্ব।’