রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই ইউক্রেনকে আরও ২৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই সহায়তা প্যাকেজের ভেতরে অ্যান্টি-ড্রোন সরঞ্জামের পাশাপাশি বিমান প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার সরঞ্জামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন কয়েকজনের বরাত দিয়ে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এ সংক্রান্ত একটি নথিও রয়টার্স দেখেছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।
রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ড্রোনকে পরাস্ত করতে এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য ইউক্রেনকে নতুন করে ২৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্যাকেজটি শুক্রবার ঘোষণা করা হতে পারে। যদিও ঠিক কী ধরনের অ্যান্টি-ড্রোন এবং বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে তার বিশদ বিবরণ পাওয়া যায়নি।
বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং নথির বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইউক্রেনের জন্য সম্ভাব্য এই নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজে লকহিড মার্টিন কর্পোরেশনের তৈরি হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমারস) রকেট লঞ্চার, ১৫৫ মিমি গোলাবারুদ, হামভি সামরিক যান এবং জেনারেটর অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র এই সহায়তা প্যাকেজ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। কারণ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মাধ্যমে স্বাক্ষরিত না হওয়া পর্যন্ত এই সহায়তা প্যাকেজের বিষয়বস্তু এবং আকার পরিবর্তন হতে পারে।
রাশিয়া সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে। মূলত, ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সাথে রাশিয়াকে সংযুক্তকারী ইউরোপের বৃহত্তম রেল ও সড়ক সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে গত ৮ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের জ্বালানি নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোগুলোতে আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া।
এর মধ্যে সম্প্রতি অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বৃহত্তম বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর বেশ কয়েক দফায় ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়া কার্যত ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি চালায়।
মূলত রাশিয়ার এই ধরনের আক্রমণ মোকাবিলায় ইউক্রেনে কয়েক সপ্তাহ ধরে অত্যাধুনিক অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট নাজামস (NASAMS) সিস্টেম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
অবশ্য এই সহায়তা প্যাকেজের বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি হোয়াইট হাউস। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একজন মুখপাত্র এই সাহায্য প্যাকেজ সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।