গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, আমিসহ ট্রাস্টি বোর্ডের তিন সদস্যের সঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, রোববার (৬ নভেম্বর) এরশাদ ট্রাস্টের সদস্য ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর ও অ্যাডভোকেট রুবায়েত হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদ ট্রাস্টের সুবিধাভোগী শাহাতা জারাব এরশাদ এরিকের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য রাজধানীর বারিধারার ১০ দূতাবাস রোডের প্রেসিডেন্ট পার্কে যাই। এ সময় আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বিদিশা সিদ্দিক।
যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে বিদিশা সিদ্দিক বলেন, তাদের সঙ্গে আমার কথাও হয়নি। আমি এবং এরিক ওমরা করে আসার পরে অসুস্থ ছিলাম। তারা যখন বাসায় এসেছিলেন তখন এরিক বাসায় ছিল না। বাসায় মেহমান ছিল।
তিনি আরও বলেন, তাদের বলা হয়েছিল এরিক বাইরে গেছে, আপনারা বসেন। কিন্তু তারা সময় নেই বলে উঠে চলে যান। যাওয়ার সময় মামুন সাহেব আমাকে ১৪ হাত মাটির নিচে পুতে ফেলার হুমকি দিয়ে গেছেন। এটা সবাই শুনেছে। তার আগে তিনি আমাকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করা আছে।
কাজী মামুনুর রশীদ এখন আর এরশাদ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নেই দাবি করে বিদিশা বলেন, কাজী মামুন এখন আর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান নেই। এখন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. তানভীর ইকবাল।
বিদিশাকে হুমকি দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কাজী মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি তাকে কেন হত্যার হুমকি দিতে যাব? এটা মিথ্যা কথা। বিদিশা এরিক এরশাদকে যে নির্যাতন করেন, তা এরিক নিজেই আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে। তার রেকর্ড আমার কাছে আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গিয়েছিলাম এরিককে দেখতে। কিন্তু বিদিশা এরিককে লুকিয়ে রাখেন। আমরা যাওয়ার পরে এরিক বাইরে গেছে। পরে এরিকের ড্রাইভারকে ফোন করলে ধরে না। বিদিশা ড্রাইভারকে কল দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখতে বলেন। পরে ড্রাইভার তার ফোন বন্ধ করে দিয়েছে।
আপনাকে তো ট্রাস্টের চেয়ারম্যান পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী মামুন বলেন, কে বাদ দিয়েছে আমাকে? কীসেরে ভিত্তিতে বাদ দেওয়া হয়েছে?
আরও পড়ুন : সরকারকে কী বার্তা দিলো জাতীয় পার্টি?
এরিক এরশাদ আপনাকে নিয়োগ দিয়েছিল, সে-ই বাদ দিয়েছে, জানালে মামুন বলেন, আগের ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে ট্রাস্টির বোর্ডের সভায় আমাকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরিক এরশাদ আমাকে নিয়োগ দেয়নি।
এদিকে বিদিশাকে ট্রাস্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়ে নোটিশ দিয়েছেন কাজী মামুন।
নোটিশে বলা হয়, রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বিদিশাকে আবারও নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এবার তিন দিনের মধ্যে জবাব ও ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি ও বিরোধী দলীয় নেতার মুখপাত্র কাজী মামুনুর রশীদ।