মানবপাচারের অভিযোগে ইতালিতে দুই বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। তারা নারীসহ নিজ দেশের নাগরিকদের লিবিয়ায় বলপূর্বক আটকে রেখে অর্থআদায়ের চেষ্টা করেছেন।
ইতালির বার্তা সংস্থা আনসার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থাটি জানায়, আটক দুই যুবকের বয়স ৩২ ও ২৪। তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও অত্যাচার ছাড়াও মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুই অভিযুক্তের একজনকে ইতালির সিসিলির আগ্রিগেন্তো থেকে এবং আরেকজনকে উত্তরপূর্ব শহর গোরিৎসিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, এই দুই যুবক ইতালির অভিবাসনের হটস্পট লাম্পাডুসায় গত সেপ্টেম্বরে আসেন। তারা নৌপথে সিসিলিতে পৌঁছান। তবে তারা বন্দিদের পাঠান অন্য নৌকায়। লিবিয়ার জুয়ারাহতে তাদের ডিটেনশন ক্যাম্প ছিল।
বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে আসতে এদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা নেওয়া হয়। আগ্রিগেন্তো শহরের ডেপুটি পুলিশ প্রধান জিওভান্নি মিনারভি নেতৃত্বাধীন ফ্লাইং স্কোয়াড অনেক বাংলাদেশি অভিবাসীকে জেরা করে। এভাবেই তারা এই দুই যুবকের হদিস পায়।
তদন্তে জানা যায়, যারা লিবিয়াতে আসার আগেই পুরো অর্থ পরিশোধ করেছেন, তাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়। তারা খুব অল্প সময়েই লিবিয়াতে অবস্থান করেন। কিন্তু বাকিদের ওপর অর্থ পরিশোধের জন্য নির্যাতন চালানো হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, লিবিয়ার ক্যাম্পগুলো চালানোর দায়িত্ব লিবিয়ান ও মিশরীয়দের পাশাপাশি বাংলাদেশি নাগরিকরাও পাচ্ছেন। গত কয়েক মাসে এমন পরিবর্তন আসছে। এর কারণ অনিয়মিত পথে লাম্পাডুসায় আসা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে।
আর গাদাগাদি করে একেকটি ক্যাম্পে থাকা কমপক্ষে আড়াই হাজার অভিবাসীকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য একই দেশের মানুষ থাকলে বেশি সুবিধা। সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস।