প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহর আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে মালদ্বীপের রাজধানী মালের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
বুধবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কেএম শাখাওয়াত মুন এ তথ্য জানান।
বিমানটি মালদ্বীপের স্থানীয় সময় বেলা ৩টায় মালে পৌঁছাবে। মালদ্বীপের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
শেখ হাসিনার মালদ্বীপ সফরকালে কাল দুটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। প্রস্তাবিত চুক্তিগুলো হচ্ছে— দ্বৈত কর পরিহার ও বন্দিবিনিময়।
সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে— বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা ও চিকিৎসা বিজ্ঞান (নবায়ন) এবং দুই দেশের যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়নে সহযোগিতা।
এ ছাড়া বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়োগ চুক্তি নবায়ন করা হবে। সফরকালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ দুটির মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসাবে বাংলাদেশ মালদ্বীপকে ১৩টি সামরিক যান উপহার দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বৃস্পতিবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন। এ সময় বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে দুই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। পরে দুই নেতা গণমাধ্যমের সামনে যৌথ বিবৃতি দেবেন।
সফরকালে মালের হোটেল জিনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম, পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ এবং সে দেশের প্রধান বিচারপতি উজ আহমেদ মুতাসিম আদনান সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বিকালে মালদ্বীপের পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। সন্ধ্যায় মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ও সে দেশের ফার্স্টলেডি আয়োজিত রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় শেখ হাসিনা যোগ দেবেন। শেখ হাসিনা শুক্রবার মালেতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। ২৭ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন।