ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালালেও দেশটি দখলের পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে রাশিয়া। পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের স্বঘোষিত দুই প্রজাতন্ত্রের মানুষের জীবন রক্ষা এবং আট বছর ধরে তাদের ওপর গণহত্যা ও নৃশংসতার জন্য যারা দায়ী, তাদের শায়েস্তা করতেই এই অভিযান বলে দাবি করেছে মস্কো। রুশ গণমাধ্যম আর টির খবরে এসব কথা বলা হয়।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরুর পর এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে পশ্চিমা বিশ্ব। ইউক্রেনে রুশ অভিযান নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তিন দিনের বিশেষ এক জরুরি অধিবেশন শুরু হয়েছে। সেখানেই এ কথা বলেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া সাধারণ পরিষদকে বলেছেন, ‘ইউক্রেন দখল করাটা আমাদের পরিকল্পনার অংশ নয়। বিশেষ এই অভিযানের উদ্দেশ্য হলো সেই সব মানুষকে রক্ষা করা, যারা আট বছর ধরে কিয়েভ সরকারের নৃশংসতা ও গণহত্যার শিকার। এ জন্যই ইউক্রেনকে নিরস্ত্র করা প্রয়োজন।’
কিয়েভ সরকার কর্তৃক সংঘটিত ভয়াবহ অপরাধের উদাহরণ হিসেবে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত অভ্যুত্থানের প্রতিবাদকারী মানুষদের হত্যার কথা উল্লেখ করেন রুশ রাষ্ট্রদূত। ওডেসার ভবনে ৪০ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এ ঘটনায় রুশ নাগরিকসহ যারা নৃশংসতা চালিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে চায় মস্কো।