বয়ঃসন্ধি পার হলেই মুসলিম মেয়েরা নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পারেন। তাতে বাধা দিতে পারে না পরিবার।
একটি মামলায় রায় দিতে এমনটিই বলেছেন ভারতের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার যখন মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার কথা ভাবছে, তখন এ রায় দিলেন দেশটির আদালত।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের এমন রায় নিয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা।
সম্প্রতি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ১৭ বছর বয়সি এক মুসলিম তরুণী ও তার স্বামী ৩৩ বছর বয়সি এক হিন্দু যুবক।
তাদের বিয়েতে পরিবারের মত ছিল না। নিরাপত্তার অভাব বোধ করেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই দম্পতি।
ওই মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি হরনরেশ সিংহ গিল জানান, মুসলিম পার্সোনাল ল মেনেই মুসলিম মেয়েদের বিয়ে হয়ে থাকে। ইসলামি আইনের ১৯৫ অনুচ্ছেদেই বলা আছে— মুসলিম মেয়েরা বয়ঃসন্ধি পেরোলেই নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে পারেন।
বিচারপতি গিলের পর্যবেক্ষণ, পরিবারের আপত্তির বিষয়টি মেনে নিলে ওই তরুণী ও যুবকের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হতো।