পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে ঢাকার খুব কাছের উপজেলা এখন ভাঙ্গা। কৃষি নির্ভর এ উপজেলায় পদ্মা সেতু ঘিরে নানা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগও শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
পদ্মা সেতু নির্মিত হওয়ায় ভাঙ্গার গুরুত্ব অনেকাংশে বেড়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ভাঙ্গায় নির্মিত হয়েছে বহুমুখী ইন্টারচেঞ্জ। নির্মাণকাজ চলছে রেলওয়ে জংশনের। আর নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র, পদ্মা সেতু যাদুঘর। এতসব নান্দনিক স্থাপনাকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন ব্যবসায়ীরা। তারা নতুন নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা করছেন।
ভাঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা ভাঙ্গায় আধুনিক মানের একটি হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছি। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
ভাঙ্গায় পদ্মা সেতু বহুমুখী ইন্টারচেঞ্জের পাশেই ব্যক্তি উদ্যোগে শিশু পার্ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, এ পার্কটি চালু হলে বিনোদনের জন্য দূর-দূরান্তের অনেকেই এখানে আসবে।
জানা যায়, ভাঙ্গা ও আশেপাশের এলাকায় অনেক জমি ইতোমধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরির লক্ষ্যে কিনে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জমি কেনাবেচার সাথে জড়িত একাধিক ব্যক্তি জানান, আমাদের কাছে ঢাকার বড় বড় ব্যবসায়ীরা জমি কেনার জন্য আসছেন। অনেকে ইতোমধ্যে কিনেছেন। তারা এখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে চান।
ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ঢাকার নিপ্পন ফ্রিজিট সিস্টেম লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাহিন শেখ বলেন, পদ্মা সেতু হয়েছে। এখন নিজ এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
ভাঙ্গা পৌরসভার মেয়র এ এফ এমডি রেজা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে ভাঙ্গা হবে ঢাকার ‘উপ-শহর’। সাভার নারায়ণগঞ্জের মতো ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন হবে এখানে।