পাবনার বেড়ায় স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে নিজ স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষক ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে তাকে প্রাইভেট পড়াতেন।
শুক্রবার (১৩ই মে) ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক হাসমত হোসেন উপজেলার নতুনভারেঙ্গা ইউনিয়নের বাটিয়াখড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে। তিনি ঐতিহ্যবাহী ভারেঙ্গা একাডেমির সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ভারেঙ্গা একাডেমির সহকারী শিক্ষক হাসমত হোসেনের কাছে নিজ বাড়িতে প্রাইভেট পড়তো একই প্রতিষ্ঠানের ১০ম শ্রেণির ওই ছাত্রী। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোমবার (৯ই মে) ওই ছাত্রী যথারীতি স্কুলে যায়। তবে স্কুল ছুটির পর সে আর বাড়ি ফিরে আসেনি। তার অভিভাবকরা দুদিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেন।
পরে ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিভাবকরা গৃহশিক্ষক হাসমত হোসেনের কাছে ফোন করেন। তিনি ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন এবং তাকে বিয়ে করেছেন বলে জানান।
এ ঘটনায় বুধবার (১১ই মে) ছাত্রীর বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে বেড়া মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
ছাত্রীর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাসমতকে আমি অনেক বিশ্বাস করতাম। তার কাছে আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়ত। কিন্তু সে এত বড় প্রতারক, তা জানতাম না।’
এ ঘটনায় তিনি ও তার স্ত্রী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক হাসমত হোসেন সাত বছর আগে বেড়ার উপজেলার বাটিয়াখড়া গ্রামের মৃত হিরা মিঞার মেয়ে খাদিজা খাতুনকে বিয়ে করেন। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
ভারেঙ্গা একাডেমির প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বলেন, ‘প্রায় এক যুগ ধরে হাসমত এই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আগে কখনো এমন আচরণ তার মধ্যে লক্ষ্য করিনি। তিনি এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করেছেন যে, আমরাও সামাজিকভাবে লজ্জার মধ্যে পড়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর তার (অভিযুক্ত শিক্ষক) সঙ্গে পুলিশ ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের কথা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে স্কুল কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে।’
এ ব্যাপারে বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, ‘আমাদের কাছেও অভিযোগ এসেছে। ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’