আল-জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলিহকে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দেয়া কোনো তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করবে না ফিলিস্তিন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর একথা জানান।
তিনি বলেন, এই হত্যায় জড়িত অপরাধীদের তদন্ত প্রতিবেদন কখনোই গ্রহণ করা হবে না। এদিকে, শিরিনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সংবাদকর্মীরা। এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে তিউনিসিয়া, জর্ডান, ইরাক ও লেবাননসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক সংগঠনগুলো।
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আল-জাজিরার ফিলিস্তিনী সাংবাদিকের মৃত্যুতে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। শিরিনকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে’ হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আল-জাজিরা। ঘটনার সময় আরেক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকও আহত হয়েছেন। সাহসী সাংবাদিক শিরীন আরব বিশ্বের সাংবাদিকদের কাছে একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
শিরিন আবু আকলেহে কিছুদিন আগে এক ভিডিওতে বলেছিলেন, সাধারণ মানুষের কাছে যেতে আর তাদের কণ্ঠকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতেই তিনি সাংবাদিকতাকে বেছে নিয়েছেন। আল-জাজিরার ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শিরিনকে বলা হতো ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর।
বুধবারও সংবাদে পশ্চিম তীরের মানুষের কণ্ঠস্বর তুলতে ধরতেই কাজ করে চলেছিলেন তিনি। আর এর মাঝেই মুখে লাগে ইসরাইলি সৈন্যদের গুলি। থেমে যায় শিরিনের কণ্ঠ। না, শুধু এক সাংবাদিকের কণ্ঠ নয়। অনেক সাধারণ মানুষের কণ্ঠ।