অর্থ আত্মসাৎ ও পাচার মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমীনের ১২ বছর এবং প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদের চার বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। সেই সাথে রফিকুল আমীনকে দুই কোটি টাকা এবং হারুন-অর-রশিদকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া রায়ে পলাতক আসামি জসিম উদ্দিন ভূঁইয়ার ১০ বছর এবং মামলার বাকি ৪৩ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
গত ২৭শে মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ২০১২ সালের ৩১শে জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলা দুটি করেন। মামলার ৪৬ জন আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন এমডি রফিকুল আমীন ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন। পাঁচজন জামিন এবং ৩৯ আসামি পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ প্রোজেক্টের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে। ওই অর্থ আত্মসাতের ফলে সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতির মুখে পড়েন।
ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রোজেক্টের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা করা হয় আত্মসাৎ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, ডেসটিনি গ্রুপের নামে ২৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল নাম সর্বস্ব। আসামিরা প্রথমে প্রোজেক্টের টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করতেন। তারপর বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে তা স্থানান্তর করা হতো। দুদক ৩৪টি ব্যাংকে এমন ৭২২টি হিসাবের সন্ধান পায়, যেগুলো পরে জব্দ করা হয়।