এক সময় চাকায় ঘুরত যাদের ভাগ্যের চাকা, কালের বিবর্তনে এখন উল্টো দিকে ঘুরছে এ শিল্পের সাথে জড়িতদের দিনকাল। গ্রাম প্রধান বাংলাদেশে চাকার তৈরী বাহনই ছিল যাতায়ত সহ কৃষিপন্য বহনের অন্যতম অবলম্বন। চাকার তৈরী গরু-মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন ছিল সর্বক্ষেত্রে। কদর থাকায় চাকা তৈরীর কারিগররা ভাল উপার্জন করে স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করত। তবে কালের বিবর্তনে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এসব চাকার তৈরী বাহন। এখন উন্নত রাস্তা-ঘাট আর প্রযুক্তির কারণে বিলুপ্ত হচ্ছে এই শিল্পের সাথে জড়িতরা। আর কারিগররাও ছাড়ছে তাদের বাপ-দাদার আমলের পেশাটি-
মানবসভ্যতার ইতিহাসে চাকার আবিষ্কারকে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে ধরা হয়। শিল্প-সাহিত্যেও জায়গা করে নিয়েছে চাকা । প্রখ্যাত নাট্যকর ও গবেষক সেলিম আল দীন চাকা নিয়ে তৈরী করেছেন নাটকও। এক সময় গ্রাম প্রধান বাংলাদেশে চাকার তৈরী বাহনই ছিল যাতায়ত সহ কৃষিপন্য বহনের অন্যতম অবলম্বন। কৃষিপন্যই হোক আর বিয়ের অনুষ্ঠানই হোক বা রোগ-বালাইয়ে ডাক্তার-হাসপাতালে যাতায়ত, সব কাজই চলত কাঠের চাকার তৈরী বাহনে-
কাঠের চাকা তৈরীর একমাত্র উপকরন বাবলা গাছের সহজ লভ্যতার কারনে ঝিনাইদহের শৈলকুপা-গাড়াগঞ্জ সড়কের দু ধারে ছোট ছোট টিনের ঘরে গড়ে ওঠে গরু, মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ির চাকা তৈরীর কারখানা। এখানকার তৈরী চাকা রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে বিক্রি হতো।
প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ও গ্রামাঞ্চল থেকে বাজারে পন্য আনা নেওয়ার কাজে গরু-মহিষ ও ঘোড়াই চালিত দ্বি-চক্র যানের অধিক ব্যবহার হলেও বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়াই ইঞ্জিন চালিত যানের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে দ্বি-চক্র এ বাহন। ফলে ভাগ্যের চাকা উল্টো দিকে ঘুড়তে শুরু করেছে এ শিল্পের সাথে জড়িত মানুষগুলোর।
আগে প্রতি মাসে ৮-১০ জোড়া চাকা বিক্রি হত বর্তমানে তা কমে ৩-৪ জোড়ায় দাঁড়িয়েছে। এক জোড়া চাকা তৈরী করতে সময় লাগে ৪-৫ দিন আর বিক্রি হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়। চাকা বিক্রির ভরা মৌসুম অগ্রহায়ন, চৈত্র মাস
এক সময় চাকায় ঘুরত যাদের ভাগ্যের চাকা, কালের বিবর্তনে এখন উল্টো দিকে ঘুরছে এ শিল্পের সাথে জড়িতদের দিনকাল। গ্রাম প্রধান বাংলাদেশে চাকার তৈরী বাহনই ছিল যাতায়ত সহ কৃষিপন্য বহনের অন্যতম অবলম্বন। চাকার তৈরী গরু-মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন ছিল সর্বক্ষেত্রে। কদর থাকায় চাকা তৈরীর কারিগররা ভাল উপার্জন করে স্বাচ্ছন্দে জীবন-যাপন করত। তবে কালের বিবর্তনে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে এসব চাকার তৈরী বাহন। এখন উন্নত রাস্তা-ঘাট আর প্রযুক্তির কারণে বিলুপ্ত হচ্ছে এই শিল্পের সাথে জড়িতরা। আর কারিগররাও ছাড়ছে তাদের বাপ-দাদার আমলের পেশাটি-
মানবসভ্যতার ইতিহাসে চাকার আবিষ্কারকে একটি যুগান্তকারী ঘটনা হিসেবে ধরা হয়। শিল্প-সাহিত্যেও জায়গা করে নিয়েছে চাকা । প্রখ্যাত নাট্যকর ও গবেষক সেলিম আল দীন চাকা নিয়ে তৈরী করেছেন নাটকও। এক সময় গ্রাম প্রধান বাংলাদেশে চাকার তৈরী বাহনই ছিল যাতায়ত সহ কৃষিপন্য বহনের অন্যতম অবলম্বন। কৃষিপন্যই হোক আর বিয়ের অনুষ্ঠানই হোক বা রোগ-বালাইয়ে ডাক্তার-হাসপাতালে যাতায়ত, সব কাজই চলত কাঠের চাকার তৈরী বাহনে-
কাঠের চাকা তৈরীর একমাত্র উপকরন বাবলা গাছের সহজ লভ্যতার কারনে ঝিনাইদহের শৈলকুপা-গাড়াগঞ্জ সড়কের দু ধারে ছোট ছোট টিনের ঘরে গড়ে ওঠে গরু, মহিষ ও ঘোড়ার গাড়ির চাকা তৈরীর কারখানা। এখানকার তৈরী চাকা রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে বিক্রি হতো।
প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ও গ্রামাঞ্চল থেকে বাজারে পন্য আনা নেওয়ার কাজে গরু-মহিষ ও ঘোড়াই চালিত দ্বি-চক্র যানের অধিক ব্যবহার হলেও বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়াই ইঞ্জিন চালিত যানের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে দ্বি-চক্র এ বাহন। ফলে ভাগ্যের চাকা উল্টো দিকে ঘুড়তে শুরু করেছে এ শিল্পের সাথে জড়িত মানুষগুলোর।
নোট: আগে প্রতি মাসে ৮-১০ জোড়া চাকা বিক্রি হত বর্তমানে তা কমে ৩-৪ জোড়ায় দাঁড়িয়েছে। এক জোড়া চাকা তৈরী করতে সময় লাগে ৪-৫ দিন আর বিক্রি হয় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়। চাকা বিক্রির ভরা মৌসুম অগ্রহায়ন, চৈত্র মাস