মঙ্গলবার , ২৯ মার্চ ২০২২ | ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. অস্ট্রেলিয়া
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আফ্রিকা
  6. আবহাওয়া
  7. আমেরিকা
  8. আয়ারল্যান্ড
  9. ইউক্রেন
  10. ইউরোপ
  11. ইতালি
  12. কানাডা
  13. খেলাধুলা
  14. গ্রাম বাংলা
  15. চিত্র বিচিত্র

`কারো সাথে যুদ্ধে জড়াতে চায় না বাংলাদেশ’

প্রতিবেদক
Probashbd News
মার্চ ২৯, ২০২২ ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

Spread the love

মিথ্যাচারের জবাব দিতেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর নিরাপত্তার জন্য মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে শেখ রাসেল সেনানিবাস উদ্বোধন করে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে সরকার প্রধান বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির পাশাপাশি মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হবে। এসময় সেনাবাহিনীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, কারো সাথে যুদ্ধে জড়াতে চায় না বাংলাদেশ, কিন্তু বহিঃশত্রুর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য স্বশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই, আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশ উন্নত হবে। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। জাতির পিতা আমাদেরকে যে পররাষ্ট্রনীতি শিখিয়ে গেছেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কখনও যদি আক্রমণ হয়, তবে যেন আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। সেভাবেই সশস্ত্র বাহিনীকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। লক্ষ্য বৈশ্বিক যোগ্যতাসম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, ২০০১ সালেই পদ্মা সেতুর ভিত্তি আওয়ামী লীগ সরকার দিলেও, বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দিয়েছিল। বিশ্বব্যাংকের বাধার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, এই সেতু নির্মাণ সম্ভব হবে না। কিন্তু এই সেতু আজ বাস্তব। এই সেতুর নিরাপত্তা অপরিহার্য। সে জন্যই এই সেনানিবাস নির্মাণ করা হয়েছে।

এ সময় শেখ রাসেলের নামে সেনানিবাস করায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। বলেন, খুব দ্রুতই এই সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়ে যাবে। তাই এই সেতুর নিরাপত্তা একান্তভাবে প্রয়োজন। সেই নিরাপত্তা বিধানের জন্যই ব্যবস্থা নিয়েছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এই সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের জেলগুলোর শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থারই উন্নতি হবে না, সঙ্গে আর্থসামাজিক উন্নতিও হবে। একটা সেতু নিরামাণের মধ্য দিয়ে একটা এলার উন্নতি হয়।

সরকারপ্রধান বলেন, এই সেতু নির্মাণের ফলে ১-২ ভাগ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। সেতু ও সেনানিবাসের মাধ্যমে এই অবহেলিত জনপদের মানুষ আরও এগিয়ে যাবে।

সর্বশেষ - প্রবাস