নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন প্রশ্নে এবার কোনো ছাড় দিতে চায় না বিএনপি।
রাজপথে চাপ তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন বামদলসহ বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য চায় দলটি। বিএনপির এই ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে ২০ দলীয় জোটের বেশ কটি দল ইতিবাচক সাড়া দিলেও আপত্তিও আছে অনেকের।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে শপথ নেয়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। শুরু থেকেই এই কমিশনের ওপর অনাস্থা ছিল বিএনপির। নতুন যে কমিশন গঠণ করা হবে তার গ্রহণযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতে সরকারবিরাধী রাজনৈতিক দলগুলোকে পাশে চায় বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, এখন আমাদের মাঠের জোট করতে হবে, মাঠে আরও ভালো ইউনিটি তৈরি করতে হবে। ২০ দলীয় ঐক্যজোটসহ আরও যারা আছে তারা এবং জনগণকে সাথে নিয়ে রাজপথে থাকতে হবে। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে জনগণকে সাথে নিয়েই আন্দোলন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার দলের সমর্থিত কমিটি আমরা মেনে নিব না। মুক্ত চিন্তার মানুষ এখনো বাংলাদেশে আছে, তাদের নিয়ে কমিটি করলেই তা গ্রহনযোগ্য হবে। এবারও যদি ইভিএম দিয়ে নতুন করে ভোট ডাকাতির মত কোন কমিশন করা হয়, সে কমিশনের অধিনে কোন নির্বাচন হবে বলে আমি মনে করি না।
নির্বাচন কমিশন প্রশ্নে বিএনপির কাছ থেকে কোন প্রস্তাব পেলে তা ভেবে দেখার কথা বলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বলেন, একটি উপযুক্ত এবং গ্রহনযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আমাদের দাবি নিয়ে যে আন্দোলন প্রয়োজন সেই আন্দোলনেই কল্যাণ পার্টি রাজপথে থাকবে। এ বিষয়ে বিএনপি যদি এগিয়ে আসে আমরা তাদের পাশে থাকবো। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতি বেঁচে থাকা নির্ভর করছে আগামি নির্বাচন কমিশনের উপরে।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা এখনো বিএনপি থেকে কোন ধরনের প্রস্তাবনা পাইনি। তারা যদি এ নিয়ে কোন প্রস্তাবনা বা বসতে চায়, তাহলে আগে সবকিছু দেখে বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিব। তবে আমরা চাই যে বিরোধীদল সহ প্রতিটা রাজনৈতিক দল এবং সরকার এ বিষয়ে সরাসরি একটা রাজনৈতিক আলাপ হওয়া উচিত।
ক্ষমতাসীন দলকে বহাল রেখে শুধু নির্বাচন কমিশন পরিবর্তনের যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করে ২০ দলীয় জোট শরিক এলডিপি। আর বিএনপির বৃহত্তর ঐক্যেও আগ্রহী নয় দলটি।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, সরকার যতদিন পর্যন্ত তাদের নিয়ত ঠিক করবে না, উপর থেকে ফেরেশতা এনে বসায় দিলেও নির্বাচন কমিশনে কোন লাভ হভে না। আন্দোলনের জন্য কেউ জোট করবে না, আন্দোলন এবং নির্বাচনের জন্য করতে হবে। আমাকে দিয়ে মার খাওয়াবেন আর ফল আপনি ভোগ করবেন এভাবে কেউ জোট করবে না।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনমুখি জোট কেউ করবে কি না তা আগে দেখতে হবে। আন্দোলন কিসের জন্য করবে? আন্দোলন করে আমরা সরকারকে হটাবো আর আপনি সরকার গঠন করবেন। যারা আন্দোলন করেছে তারা বাইরে দাঁড়িয়ে থাকবে দারোয়ানের মত ডিউটি করবে এজন্য কেউ আন্দোলন করবে না কি?