ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে পর্তুগালের গোলমেশিন বলা হয়। এই ৩৬ বছর বয়সেও গোল করার ক্ষেত্রে তরুণদের চেয়েও এগিয়ে তিনি।
দল ভালো না করলেও রোনাল্ডো ঠিকই গোল পেয়ে থাকেন। এবারের ইউরো কাপেও তেমনটাই দেখা গেল। দল শেষ ষোল থেকে ছিটকে পড়লেও সেই টুর্নামেন্টে রোনাল্ডো করেছিলেন পাঁচ গোল।
আর তখনই ছুঁয়ে ফেলেছিলেন ইরানি কিংবদন্তি আলি দাইর বিশ্বরেকর্ড। অপেক্ষা ছিল শুধু আরও একটিমাত্র গোল করে আলি দাইকে ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক গোলের বিশ্বরেকর্ডটা একান্তই নিজের করে নেওয়ার।
সেটাই করলেন ক্রিশ্চিয়ানো। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জোড়া গোল করে সেই বিশ্বরেকর্ডের মালিক হলেন তিনি, যা লিওনেল মেসি, নেইমার, কিংবদন্তি পেলে, ম্যারাডোনা কারো নেই।
ইউরোয় করা পাঁচ গোল রোনাল্ডোকে সমতায় নিয়ে এসেছিল আলি দাইর সঙ্গে। দু’জনের গোল ছিল ১০৯টি করে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বুধবার রাতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৯ মিনিটে সতীর্থের ক্রসে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন রোনাল্ডো। এটি ছিল সমতাসূচক গোল। এ গোল দিয়েই দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডটি নিজের করে নেন পর্তুগিজ অধিনায়ক। এরপর যোগ করা সময়ে ফের একটি হেডার থেকে জোড়া গোল পূর্ণ করেন। অন্তিম সময়ের দুই গোলে তার দল পর্তুগালও পেল দারুণ এক জয়।
শেষ গোলের ফলে আন্তর্জাতিক গোলের বিশ্বরেকর্ড পেল নতুন এক উচ্চতা। গিয়ে ঠেকল নেলসন নাম্বারে। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোল ১১১টি, বিশ্বরেকর্ডটাও। পর্তুগালের জার্সি গায়ে ২৭বার ম্যাচে একাধিক গোল করেছেন রোনাল্ডো। রয়েছে নয়টি হ্যাটট্রিক। দুটো ম্যাচে চারটি গোল করেছেন তিনি।
ম্যাচের পরিসংখ্যানে রোনাল্ডো অবশ্য অনেক পিছিয়ে। দেশের হয়ে ১৮০টি ম্যাচ খেলে ১১১টি গোল করলেন রোনাল্ডো। আলি দাই খেলেছিলেন ১৪৯টি ম্যাচ।
১৫১ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে মেসির গোলসংখ্যা ৭৬ আর এ পর্যন্ত ব্রাজিলের জার্সিতে ১১১ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে নেইমারের গোলসংখ্যা ৬৮। অর্থাৎ দেশের হয়ে খেলায় মেসি-নেইমার থেকে অনেক এগিয়ে আছেন রোনাল্ডো।
তথ্যসূত্র: গোল ডট কম।