ছাত্রদের দেখেশুনে রাখার দায়িত্বে থাকা নারীর হাতে যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিল এক শিক্ষার্থী। চার বছর আগের ওই ঘটনায় ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে হায়দরাবাদের আদালত।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তরুণীর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল। একটি বিশেষ আদালত মামলাটিতে ওই তরুণীকে দোষী সাব্যস্ত করে। ২০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকার জরিমানাও করা হয়েছে তাকে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, অভিযুক্ত ওই তরুণী ছেলেদের প্রাইমারি স্কুলে কেয়ারটেকারের চাকরি করতেন। স্থানীয় ভাষায় এই পদকে বলা হয় ‘আয়াম্মা’। অর্থাৎ আয়া-মা।
২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর সেই আয়াম্মার বিরুদ্ধেই যৌন নিগ্রহের অভিযোগ আনেন স্কুলের এক ছাত্রের বাবা। অভিযোগে তিনি জানিয়েছিলেন, তার ছেলেকে নিয়মিত যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয় স্কুলে।
অভিযোগে বলা হয়, স্কুলের আয়াম্মা ওই ছাত্রকে গোপনে ডেকে আদর করতেন এমনকি ছাত্রটির গোপনাঙ্গ স্পর্শও করতেন। ব্যাথা পেয়ে ছাত্রটি প্রতিবাদ জানালে তাকে মারধরও করতেন ওই তরুণী। অভিযোগে তরুণীকে বিকৃত মানসিকতার বলে উল্লেখ করেছিলেন ছাত্রের বাবা।
তিনি আরও বলেন, ‘ছেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে প্রশ্ন করতেই ওই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানায় সে।’ ছাত্রটিকে ওই তরুণী সিগারেটের ছ্যাঁকাও দিতেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ছাত্রের বাবা। চারবছর পর সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়।
বিশেষ শুনানিতে বৃহস্পতিবার ওই মামলায় তরুণীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। পকসো আইনে দোষী সাব্যস্ত তরুণীকে ২০ বছরের হাজতবাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।