বাংলাদেশে তৈরি ‘বঙ্গভ্যাক্স’ টিকা’ ডেল্টাসহ করোনাভাইরাসের ১১টি ভেরিয়েন্ট মোকাবিলা করতে সক্ষম বলে দাবি করেছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি অ্যান্ড রেগুলেটরি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন যুগান্তরকে জানিয়েছেন, তাদের তৈরি টিকা বানরের ওপর বেশ কয়েকবার প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে কার্যকর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে বানরের শরীরে। যা থেকে প্রমাণিত হয় এটা মানবদেহেও সমান কার্যকর হবে। কারণ বানর আর মানুষের মধ্যে জিনগত বেশ মিল রয়েছে।
ড. মহিউদ্দিন বলেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বে সক্রিয় করোনাভাইরাসের ডেল্টাসহ ১১টি ভেরিয়েন্টের সিকোয়েন্স পর্যবেক্ষণ করে টিকার সিকোয়েন্স মিলিয়ে দেখা গেছে প্রতিটি ভেরিয়েন্টের ক্ষেত্রেই বঙ্গভ্যাক্স কার্যকর।
বঙ্গভ্যাক্স টিকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে— এটি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১ মাস এবং -২০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।
ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দাবি করেন, ১ আগস্ট থেকে বানরের ওপর শুরু হওয়া এ ট্রায়াল কার্যক্রম শেষ হলে অক্টোবরের শেষে বিস্তারিত প্রতিবেদন কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে। বঙ্গভ্যাক্স মানবদেহেও একইভাবে কাজ করবে। সব পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে সরকারের অনুমোদন পেলে শিগগিরই বাজারে আসবে এই টিকা।‘
গ্লোব বায়োটেকের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রচলিত বেশিরভাগ ভ্যাকসিন ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে খুব একটা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না। এক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে বঙ্গভ্যাক্স, প্রত্যাশা করেন তিনি।
২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গ্লোব বায়োটেকের আবিষ্কৃত বঙ্গভ্যাক্স টিকাকে কোভিড-১৯ টিকার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।