প্রবাসীদের কল্যাণে ভূমিকা রাখতে হলে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনায় নেওয়া দরকার।
যোগাযোগ এবং তথ্য প্রদান
প্রবাসীদের জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহ করা যেমন ভিসা, কাজের নিয়ম-কানুন, বসবাসের সুযোগসুবিধা, এবং স্বাস্থ্যসেবা।
অনলাইন এবং স্থানীয় দূতাবাসের মাধ্যমে সহজে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা। নিয়মিত হটলাইন চালু রাখা যেখানে প্রবাসীরা জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়তা পেতে পারেন।
সামাজিক ও মানসিক সহায়তা
প্রবাসীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা। সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক আয়োজনের মাধ্যমে তাদের একত্রিত করা, যা তাদের একাকীত্ব দূর করতে সাহায্য করবে।
আইনি সহায়তা
প্রবাসীদের যেকোনো আইনি জটিলতায় সহায়তা প্রদান। কাজের চুক্তি, বেতন ইত্যাদি নিয়ে সমস্যা হলে দূতাবাসের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা।
অর্থনৈতিক সহায়তা
প্রবাসীদের উপার্জিত অর্থ সহজে এবং নিরাপদে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। তাদের বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে অবহিত করা এবং দেশে ছোট-মাঝারি বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করা।
প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি
বিদেশ যাওয়ার আগে প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় ভাষা, কাজের দক্ষতা এবং আইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া। দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের আরো ভালো কাজের সুযোগ তৈরি করা।
পরিবারের সঙ্গে সংযোগ রক্ষা
প্রবাসীদের পরিবারের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া যাতে তারা মানসিকভাবে শান্তিতে থাকতে পারেন। দেশে থাকা পরিবারকে সরকারি সাহায্য দেওয়া (যেমন আর্থিক সহায়তা বা শিক্ষা সুবিধা)।
নাগরিক অধিকার রক্ষা
প্রবাসী শ্রমিকদের মানবাধিকার এবং মর্যাদা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। অন্য দেশে যদি তারা শোষণের শিকার হন, তবে দ্রুত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া।
এই উদ্যোগগুলো গ্রহণ করলে প্রবাসীদের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব এবং তাদের জীবনের মান উন্নত হবে। একইসাথে, তাদের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে আরো বড় অবদান রাখা সম্ভব।